কক্সবাজার, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

একসঙ্গে হাঁটায় কান ধরে এক পায়ে দাঁড় করিয়ে শাস্তি

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরাদেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

একসঙ্গে দুজনের বেশি ঘোরাফেরা করতে দেখলে জরিমানা করার কথা জানিয়ে মাইকিংও করা হয়েছে। তবে এসব নিষেধাজ্ঞা অনেকেই আমলে নিচ্ছেন না। এর প্রেক্ষিতে মাস্ক না পরায় এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রেখে একসঙ্গে চারজন হাঁটায় কান ধরে এক পায়ে দাঁড় করিয়ে শাস্তি দিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা ছয়টায় জেলা শহরের কাউতলি বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। তবে ওই চার যুবকের পরিচয় জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় জরুরি কোনো প্রয়োজন ছাড়াই ওই চার যুবক নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রেখে একসঙ্গে হেঁটে যাচ্ছিল। তাদের কেউই মাস্ক পরেননি। এ সময় কাউতলি বাসস্ট্যান্ডস্থ ট্রাফিক পুলিশ বক্সে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্ট ইকতিয়ার উদ্দিন আহমেদ তাদেরকে মাস্ক না পরা এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে না চলার শাস্তি হিসেবে কিছুক্ষণ কানে ধরে এক পায়ে দাঁড় করিয়ে রাখেন।

এরপর তাদেরকে নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করা এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলার শর্তে ছেড়ে দেয়া হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত অনেকেই পুলিশের এই শাস্তি দেয়াকে স্বাগত জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট ইকতিয়ার উদ্দিন আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জরুরি কোনো প্রয়োজন ছাড়াই নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রেখে ওই চার যুবক একসঙ্গে রাস্তায় হাঁটছিল। পরবর্তীতে তাদেরকে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করে ছেড়ে দেয়া হয়।

পাঠকের মতামত: